কিছু মৃত্যু মেনে নেয়া কষ্টকর। তবুও মেনে নেয়া ছাড়া কিছু করার থাকেনা।তেমনি

বাকেরগঞ্জের ৩টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের শত চেষ্টার পরেও ডায়রিয়া কেড়ে নিলো ১৭ মাসের শিশু রিয়াদের প্রাণ। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে এ্যাম্বুলেন্সেই প্রাণ হারায় শিশু রিয়াদ।

রিয়াদের পিতা মোঃ নুরুল হক পেশায় একজন রিক্সা চালক। তার বাড়ি উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামে। হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, শিশু রিয়াদ ডায়রিয়া ও শ্বাস কষ্টে ভোগায় মঙ্গলবার সকালে তার পিতা-মাতা চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন।

শিশুটির অবস্থা জটিল হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়। শিশুটির পিতা নিতান্তই গরিব বিধায় সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে গেলেও টাকার অভাবে চিকিৎসার জন্য বরিশালে নিতে পারেনি।

এসময় হাসপাতালে মানব সেবায় ব্রত পালনকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাকেরগঞ্জ যুব ব্লাড ডোনার্স ক্লাব, স্বপ্নছোঁয়া যুব সংগঠন ও ডিপেন্ডেবল ইয়ুথ সোসাইটি এই তিনটি সংগঠনের সদস্যরা নিজেরা ২ হাজার ৯ শত টাকা চাঁদা তুলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে অক্সিজেনযুক্ত একটি এ্যাম্বুলেন্সে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করে। শিশু রিয়াদের জীবন বাঁচাতে বাকেরগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি দানিসুর রহমান লিমন নিজেও কিছু টাকা দিয়ে শরিক হয়েছিলেন।

কিন্তু নির্মমতা এই যে শিশুটিকে বরিশালে নেয়ার পথেই মারা যায়। যদিও এত চেষ্টা করেও শিশু রিয়াদকে বাঁচানো যায়নি। তার পরেও বাকেরগঞ্জ যুব ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের সভাপতি মুশফিকুর রহমান দোলন, সাধারণ সম্পাদক গাজী রিয়াজুল ইসলাম তুষার, স্বপ্নছোঁয়া যুব সংগঠনের সভাপতি মাহাদী ইসলাম শহিদুল, সাধারণ সম্পাদক তানিয়া আক্তার ইভা ও ডিপেন্ডেবল ইয়ুথ সোসাইটির সভাপতি রিজবি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলামিনসহ স্বেচ্ছাসেবী তিনটি সংগঠনের সকল সদস্যদের কারো কোন চেষ্টার কমতি ছিলোনা।